লাইলাতুল কদরের রাতে আমল করতে এই গাইডলাইনটা দেখতে পারেন।
সর্বপ্রথম চেষ্টা করবেন দুপুরের দিকে একটু বিশ্রাম করে নিতে, যেন রাত জেগে ইবাদত করার এনার্জি পাওয়া যায় ইন শা আল্লাহ।
১। মাগরিবের পর থেকে অহেতুক স্ক্রিন টাইম, আনমনে স্ক্রল করে যাওয়া, টিভি দেখা থেকে একদম বিরত থাকুন।
২। মাগরিবের পর থেকেই কিন্তু কদরের রাতের শুরু, তাই ইফতারের পরে আপনি কোন ধরনের কথা উচ্চারণ করছেন খেয়াল রাখবেন। গীবত, পরনিন্দা হয়ে গেলে এ সমস্ত গুনাহের প্রভাবে যেন আপনার কদরের রাত যেন নষ্ট না হয়ে যায়।
৩| আপনার পরিস্থিতির বিবেচনা করে একটু ফ্রেশ হয়ে নিতে পারেন গোসল করে। তাহলে পরিষ্কার ঝরঝরা অবস্থায় ইবাদত শুরু করতে পারবেন।
৪। কুরআন পড়তে পারলে রাত ১২:০০ টার আগ পর্যন্ত কুরআন পড়ুন।
৫। রাত ১২:০০ টা থেকে ১:০০ টা পর্যন্ত নফল নামাজ পড়তে থাকুন
৬। রাত ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত জিকির করুন।
যেমনঃ-



(১০০+ বার করে)







(৯) "লা হাওলা ওয়ালা কুওওতা ইল্লা বিল্লাহ" বেশি বেশি পড়তে পারেন।
(১০) সূরা ইখলাস যত বেশি পড়া যায়।
(১১) স্যায়েদুল ইস্তগফার পাঠ করা।
৬। রাত ২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত আবার তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ুন। এবার ধীরে-সুস্থে রুকুতে এবং সিজদায় অনেকক্ষণ সময় দিবেন। বিশেষ করে সিজদায় অসম্ভব সময় নিয়ে দুয়া করবেন। সিজদায় বেশী বেশী সময় ব্যয় করুন।
৭। তাহাজ্জুদের পর বিতরের নামাজ পরুন।
৮। সেহরি খাওয়ার পূর্বেই হাত তুলুন মালিকের কাছে। আপনার প্রয়োজনের সব কিছু খুলে বলুন. চোখের পানি ফেলে বলুন, "হে আমার মালিক, আমি আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছেই হাত পেতেছি... (আমাদের ৮ পর্বের দুয়া সিরিজ দেখে দেখে পড়তে পারেন।


৯। সেহরি খান।
১০। ফজরের নামাজ পড়ুন।
উপরের কথাগুলো ছড়িয়ে দিন, যারা আপনার কথা শুনে আমল করবে, আপনিও তার সোয়াব পাবেন আশা করি ইনশাআল্লাহ।
রমজানের শেষ দশ দিনের মধ্যে যে কোন রাত শবে কদর হয়ে যেতে পারে। তাই শবে কদরের রাত মিস করতে না চাইলে, দশ রাতেই আমল করুন।
আল্লাহ আমাদেরকে লাইলাতুল কদর পর্যন্ত পৌঁছে দিন।
(মূল লেখা লিখেছে: Baseera
বেশ কিছু পরিমার্জনা করা হয়েছে)
#কুরআন
#রামাদান
#দুয়া